ঘুম থেকে জেগে
নাস্তা না সেরেই বসতাম এসে কড়ই গাছের তলে
সখি আমার এ পথ দিয়েই রোজ
যায় যায় যে পাঠশালে।


সখির মুখের মুচকি হাসি
ভরিয়ে দিত মন
অর্ধেক হ্মুধা হয়ে যেত
তখনই নিবারণ।


তবু মায়ের জন্য
ফিরে আসতাম বাড়ি
আমি খেলে তবেই মা
খেত নাস্তা পানি।


সখির জন্য আমার মন
থাকত উচাটন সারাহ্মণ
ভুল হয়ে যেত সব কাজে
খাওয়া পাতে হাত ধুয়ে মাঝে মাঝে
পড়তাম বড় লাজে।


তাইনা দেখে মা আমার
চিন্তিত হত বারবার
ছেলের হল একি
কোন্ দস্যির পাল্লায় পড়ে
ছেলের মাথা গেল পঁচে
ছেলে গোল্লায় গেল নাকি ?


লোকে বলে নারীর মন
মোমের মত যায় গলে
সখির মন বড়ই কঠিন আমার
প্রেম বুঝি গেল বিফলে।


একদিন মনের যত কথা আছে
সব খুলে বললাম তারে
নারীর মন বড়ই চতুর
সাড়া না দেয় তরাসে।


চাতকের ন্যায় আর কত
চেয়ে থাকব আমি
পথের যত গাছ-গাছালি
আমার ব্যাথায় ব্যাথি।


অবশেষে অপেহ্মার মেঘ বৃষ্টি হল
সখি আমার আপন হল
বুকে টেনে নিল সোহাগে
সেদিন ধরাতে নেমে এসেছিল
সুখ যত ছিল স্বরগে।


হঠাৎ বদলে গেল দিন
তখন আমার বড়ই দুর্দিন
সখি নিল মুখ ফিরায়ে
বৃষ্টির ঝাপটা দেখে সে যে
ছাতা নিল ঘুরায়ে।


দুঃখে জর্জরিত
কান্না বিজরিত আমি
কেউ নেই পাশে
দেখি তখনও একজন
কাঁদিছে সারাহ্মণ
মা আমার-আমারই পাশে।