যেদিন থেকে দেখেছি তার মুখ
সেদিন থেকে পূর্ণিমা চাঁদ দেখে আর
পাই না যে সুখ ।

জীবনের সব সুখ-স্বাচ্ছন্দ
হয়ে গেছে ম্লান
তাই ঈদের আনন্দেও শুনি
বিরহের গান
তার বিহনে
থাকি কেমনে
কেমনে কাটে দিবস-রজনী
তোমরা জান না তো কেউ
জান না গো সজনী ।


নিজেরই অজান্তে-
জীবনের সব চাওয়া-পাওয়া হয়ে গেছে একটাই
আর কিছু চাই না তারেই শুধু চাই ।


কেন-
পৃথিবীর সব রূপ-রস-গন্ধ
গেছে হারিয়ে
কোন কিছু পারে না যেতে
তাহারে ছাড়িয়ে ।


কেন-
সব কিছু লাগে বড় বাজে
সকাল-দুপুর-সাঁঝে
মন তো বসে না কিছুতেই আর
অন্য কোন কাজে ।


কেন-
আমি অষ্ট প্রহরে
আপন মনের মাধুরী মিশায়ে
রচিয়া যাই তাহারে
বারে বারে।


কেন-
আজ বড় ক্ষুধাতুর আমি
ক্ষুধার্ত এ  প্রাণ
তাহার দর্শনেই হয় কেবলি
সমস্ত ক্ষুধার অবসান ।


দোহাই তোমাদের-
শুধু একটু পেতে দাও সুখ
এনে দাও তাহারে চোখের সম্মুখ
না!পূ্র্ণিমা চাঁদ নয় শুধু দেখতে চাই
প্রিয়ারই মুখ ।


অবশেষে-
তাহার প্রেমে পড়ে মনে হয় যেন
সুকান্তের কথাই খাঁটি
পূর্ণিমা চাঁদ যেন চাঁদ নয়
যেন এক ঝলসানো রুটি ।