অসহায় শিশু উজার করিল মায়ের কোল,
বুক ভরা ভালবাসা, যেন ফুটিল মকুল।
দারিদ্র, অনাদরে, পুষ্ফঠিত সে  শিশু
সংগ্রামে বেড়ে ঊঠবে, জানত কি আসু।
মৃত্যুকে সাথে নিয়ে খেলতে হবে,
শিশু থেকে বারবার অদ্য এবে।
মায়ের কোলের সে তৃতীয় শিশু,
মৃত্যু ঘেষিল বুঝি তার পিছু।
মায়ের মনের সে উদার আকাশ,
মৃত্যুও যেন মানিল হার, ঘটিল বিকাশ;


ভালবাসা যদি থাকে পৃথীবিতে কারো,
সে মা, সে মা, সে মা, আর নই আরো।


দস্যি ছেলে সে দৌড়াতে পারে,
পড়া লেখায় আরো মনোযোগ বাড়ে।
দারিদ্র চরমে, ছিল পিছুটান
তবুও সে রাখিল জ্ঞানের মান।
অবুঝ মনের তৃপ্ত আশার, ফুটাতে কানন
গুবাক তরুর শাখা ছুয়া ছিলনা ভয়ন।
বন্ধরা মিলেমিশে গাছে চড়াড়ড়ি,
ফসকে  পরে হল, হাতখানা ভাঙ্গাচড়ি।
ভেলা করে পারাপার হয়েছ সে খাল,
তবুও পরতে হবে, সে ভেবেছে শিশুকাল।
মা ছিল তার সে সঙ্গি ,  যে বুকে করে,
ছেলে যাবে পাঠশালাতে, খাল দিত পার করে।
আবার মা আনতে যেত,
খালের পানি ভিজে কত।
মাটি কাটা,আর ইট ভাটাতে,
দক্ষতা তার আপন হাতে।
তবুও সে হাড়খাটুনির কর্ম করে,
চোরিত নয়,বুক ফুটিয়ে গর্ভ করে।


তুমি যে এক দামাল ছেলে,
                যা দেখালে।
রং করেছ পরে ঘরে ,
রাঙ্গাতে নিজের নীড়ে।
বই পেতেনা পড়তে তুমি
তবুও হাল ছাড়নি, আজ জানি আমি,
জানি আমরা, জানে বিশ্ব,
তোমার চেষ্টা হয়নি নিশ্ব।


লাল জামাটা তোমাকে অদ্য,
করে দিল জীবনের গদ্য।


মানব মনে কষ্ট এমন,
সে আইন কর বর্জন।
কর পূবে পূর্ণ তালাস,
তারপর কর লগলে বিনাশ।
মা যে তোমার কত আপন,
মনের মধ্য কর বপন।
চালও তোমার রণতরী,
হাজার মাকে সঙ্গে চড়ি।
তুমি ছিলে পাড়ার লিমন,
আজ তুমি অমর কানন।


লিচ বাগান, তেঁজগাও
০৩ শ্রবণ,১৪