পদ্মপুকুর পেরিয়ে দেখলাম প্রকান্ড এক  ঘর,
কেউ বলে জমিদারের, কেউ রক্তখেকোর বংশধর;
বড়োপাখলের জঙ্গল পেলাম প্রাসাদ অতিবাহিত করে,
আশ্রয় নিয়েছে শেয়ালেরা বাঁশ বাগানের অন্ধকারে।
অরন্যের শেষে হাঁটু-জলের মৃতপ্রায় এক নদী,
পার হলাম ভয়ে-ভয়ে কুমির থাকে যদি!
ওপারে তখন বাগদিপাড়ায় চলছে শীতলা পূজা,
বাচ্চা-বুড়ো সবাই মিলে নিচ্ছে নৃত্য-গীতের মজা।
একটু এগিয়ে বটতলায় বসেছে শুক্রবারের বাজার,
হাঁড়ি-কড়া, মশলা থেকে দেখছি শাক-সব্জি হাজার।
বামদিকের পথটা নিলে বড়-রাস্তা শহরে যাবার,
পথের পাশে ঝুপড়ি-দোকানে বেচছে গরম-গরম খাবার।
তিরিশখানা মোড় পেরিয়ে তিরিশ বছর পরে,
অতিকষ্টে এসে দেখি একলা লাগছে শহরে।
ভাবছি ঘরের কথা খুঁজছি ফেরার পথ,
উপায়হীন হয়ে পথেই আমার গড়ছে জয়রথ।