আকাশ জুড়ে ছিলো মেঘের ঘনঘটা ,
চারিদিকে সাদা মেঘের বিশাল পদার্পন যেন
জানান দিচ্ছিল উদার নীলের সাথে তার সখ্যতা।
ক্ষনিকেই পাল্টে গেল সকল দৃশ্যপট-
আকাশের সাথে একাকার হয়ে মেঘগুলো হলো নীল।
অতঃপর নীলমেঘ ঘুড়ে বেড়ায় উদার আকাশের বুক।


রঙ্গিন প্রজাপতি উড়ে বেড়ায় ফুলে ফুলে এখানে সেখানে,
ছড়িয়ে দিতে চায় তার সবটুকু রং সবার মাঝে,
আনন্দে ভরিয়ে দিতে চায় প্রতিটি উপমাকে;
বিনম্র এক দ্রোহী ঝড়ে তছনছ হয়ে গেল সব।
প্রজাপতি আর ডানা মেলে উড়তে পারে না;
বিষাদের ছায়ায় তার সব রং যে হারিয়ে গেছে।


নীলমেঘের বড় মায়া হলো,সব দেখে মোহে পড়ে যায়;
ভালবাসার তাগিদে প্রজাপতিকে কাছে পেতে চায়।
মেঘের নীল ভেলাতে করে হারাতে বলে প্রজাপতিকে,
বিষণ্ণ প্রজাপতি বারবার ফিরিয়ে দেয় নীলমেঘকে।
ভারাক্রান্ত মেঘ বেদনার কষাঘাতে হয়ে যায় ধ্রুবনীল
তার মনের আঙ্গিনায় খেলা করতে থাকে নীল কষ্টগুলো
বেদনার নীল অশ্রু বৃষ্টি হয়ে ঝরতে থাকে অঝর ধারায়।
আর সেই কান্নার বৃষ্টিতে ভিজে একাকার প্রজাপতি।
মেঘের সবটুকু নীল ঝরে গেল প্রজাপতির গায়ে,
জন্ম নিলো নতুন এক নীল প্রজাপতি-
যেন নীল জামদানী গায়ে রঙ্গিন জীবনে আবারো প্রানবন্ত সে।
সেই থেকে বিষাদের কালো ছায়া নিজের করে নিয়ে
মেঘ আজও আধার কালো হয়ে ভেসে বেড়ায় বড় একাকী;
আর যখনই মনের ভিতর চাপা কষ্ট হাহাকার করে উঠে
তখনই আকাশ চিড়ে মেঘের কান্না বৃষ্টি হয়ে ঝরে।