চোখ হয়েছে ইছামতী, আজো কুল ভেজা ভেজা,
বাউলানির মায়া কাটানো বড্ড কঠিন,
তাই শুক্তো ভাতে মুখ গুঁজে থাকাটা এক সুখ,
আর কেনা জানে সুখ এক অলিক পাখি,
পাখি খুঁজতে খুঁজতে গাংচিলের দেখা পাওয়া জীবন ভারবাহী,
তেমন তেমন পাখি থুড়ি বাউলানি মেলা ভার;
যেটুকু কুড়িয়ে নেব ইদিক, উদিক ঢুঁড়ে; কেন্দুলির মেলায়,
জীবনের গহিনে ডুবে গেছে জয়দেব,
দাঁড়া, একটু জিরিয়ে নিতে দে জীবনটাকে, হাঁটতে হাঁটতে শ্রান্ত।
আর দুধের কণা ফুরিয়ে গেলেই কৈশোর; এবার -
পুরুষ জাগবে, জাগবে নারী এই একই শরীরের ভেতরে,
মৃত্যু-ইশারার দিকে পিছন ফিরে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে - তৃপ্তি।
এখানে শরীর পাখি, যৌবন পাখি,
ডাঙার মাটি কি বাউলানির আঁচল – সব পাখি।
গন্ধ, শব্দ, রক্ত, প্রস্রাব, ঘরের মায়া, একতারার টান – সব, সব।
পায়ের ধুলোও পাখি, এমনকি, বুক ঘিরে থাকা পাঁজরাও পাখি।
সব উড়ে যাবে, শুনছো বাউলানি, সব যাবে উড়ে।  
মরণ শুধু শ্যামসমান! আহা!
ও বাউলানি, তুমিও ভেতরে ভেতরে নগ্ন মানুষ যে গো!
তাঁকে চেনো?