চলে যাও বন্ধ দরজা খুলে,
ওতে আগল লাগানো আছে – পলকা!
একেবারে খোলা যাবে না তা তো নয়,
বোধহয় জানতাম চলে যাবে আর যাওয়াই উচিত।


শুধু যাবার আগে ভেঙে দিয়ে যেও দরজার কপাটখানা,
বহুদিন ওটাকেই প্রখর গ্রীষ্মের চরম আগল বলে ভেবেছি।


তুমি –
চলে যেও রাধার বিরহের মত অতি ধীর লয়ে।
তোমায় পথ দেখাবে রাত শেষ হবার পুর্বমুহুর্তের আশ্বাসী চাঁদ।
আমি -
বৃষ্টির প্রথম ছাঁট থেকে শুরু করে সদ্যসমাপ্ত উপন্যাসখানা,
উপার্জিত কষ্ট আস্বাদনে মাতব রাতভোর।


এখন অনেকদিন পিপাসায় ভুগতে চাই আমি,
বুকের নিজস্ব ক্ষেতখানা চিড়চিড় করাতে চাই অসীম পরবাসে,
শৈল্পিক স্তব্ধতা ঘিরে ধরুক আমায়,
কবরের হিম হিম অভ্যন্তরে জমাবো বিন্দু বিন্দু সভ্যতা।


তুমি দেখে এসো নদী, পাহাড়, উপজমি, মরুভূমি, উপত্যকা,
এই একখানা ঘরে কিই বা দেখতে পারতে,.... দেখা শেষে -
ফিরতে চাইলে ফিরতেই পারো,
আর না ফিরলে আমি বেঁচে থাকব আমার নিজস্ব শ্মশান নিয়ে।