এখনো খানিকটা তঞ্চকতা না মানা রক্তের ফোঁটা গড়িয়ে পড়ছে,
ভরদুপুরে আচমকাই শুনশান বুকের অলিন্দ,
এখনো খানিকটা অস্ফুট স্বর বেজে চলেছে অসহায় পাঁজরে,
বিমুর্ত ইতিহাস থমকাতে চেয়ে চেয়ে এখন নালন্দার ধ্বংসাবশেষ।
তবুও তঞ্চকতা করাতে চাচ্ছি না, ঢেলে দিচ্ছি আরো খানিকটা দুষিত হাওয়া,
চাইছি না খানিকটা প্রতিশোধ নেওয়া যাক,
আরো কয়েকটা কবিতা লিখে ফেলব তোমার মৃত্যু চেয়ে,
অথবা পুনর্জন্ম;
জন্মাও আবার কবিতার মতো মানুষ না হয়ে, তিল তিল কষ্ট ধারন করুক তোমায়,
লোভে, লালসায় মাখামাখি জীবনে ভীষণ সুখি হও,
স্ত্রী, সন্তান, মায়াময়তা নেমে আসুক ঝড় বৃষ্টির মত,
নাগরিক আনন্দে থেকো, জীবনকে বলে দিও – উল্লাস!
শুধু পাগলের মত নিবিড়, ধুলো ওড়ানো মায়াবী জানালা হবে না তুমি,
শুধু কবিতা হবে না তুমি, উপলব্ধি করবে না প্রসববেদনা।
আর কবিতা হয়ে জন্মাবে না তুমি।