জীবন হাটে চলে যাচ্ছিলুম,
কাঁধে টোকা দিয়ে বলল – চেনো আমায়?
আচ্ছা সিধু এখনো আছে? বন্দুক উঁচিয়ে?
ভুলে ভরা পদক্ষেপে রক্তশ্রাব, হুলিয়া?  
দেখি – ইয়াসিন, ইয়াকুব, অমল, শুধাংশু....
এখনো কেন আত্মগোপন? এখনো ধুলোচাপা জীবন?
চাই না চাই না ভাতে-মাছে-মোড়া দিন, কিংবা;
পেলব আঁচে সেঁকে তোলা রাত, মাংসল মুহুর্ত মুহুর্ত।
বেয়নেট উঁচিয়ে তোলার দিন থেকেই এই আত্মজীবনী লেখা শুরু,
আজো ক্ষান্তি নেই, কেন? দানিয়ুব নদী দিয়ে গড়িয়েছে তো অনেক শ্যাওলা;
সে তো অনেক দিন, কলমও বদলে গেছে তালে তালে।
মনে আছে সেই মিছিলের কথা, শহীদ মিনারের নিচে?
মিছিল চলে গেলে তুলে নিয়েছিলে আধফোটা নিমফুল?
হায় কবি! কবিতায় ডুবে গেলে, মানুষ পেলে না!
তবে কবে হবে শেষ এই পরবাস?


আমি ওদের বুকে, তলপেটে বারুদের গন্ধ পাচ্ছি,
অবয়ব বেশ খানিকটা আবছা – চিনি কি ওদের?
শৈশবের রাতে লাউডগা ছড়ানো টিনের চালে,
বোমাবাজি, আর্তনাদ, বাবা বেড়িয়ে গেলেন, ফিরে এলেন না।


কোমরের কাপড় গুছিয়ে মা ফিরে এসেছেন অনেকক্ষণ পুকুরঘাট থেকে।
এবার দরজায় টোকা দিয়ে শুধাবো – মা আছো?
একটু ভাত রেঁধো মা, ওদের খেতে দেব।