তুই এত বুড়ি হলি কি করে,
চোখ, চিবুক, গাল ধরে ধরে সব কিছুতেই দারুন নুয়ে,
কি বলছিস?
আমি আজো হাঁটতে পারছি কেন?
সেটা আমার ব্যাপার।
আমি কি ভালবাসা বিক্রি করি?
কিনবি তুই? দারুন সস্তায় দিচ্ছি। আজো।


বাড়ির বাইরে এসে ভাবছি,
তুই এত বুড়ি হলি কি করে?
কতকিছু মনে করানোর ছিল,
কত শতাব্দীর জমা প্রেম, ক্রোধ, অন্ধত্ব,
তুই ভালবাসাটাই চেয়েছিলি, আমায় চাস নি তো?


এত বুড়ি হলে কি করে মনে রাখবি,
সে রাত্রের অভিজ্ঞতা,
সে অপমান, সে লাঞ্ছনা,
সে দ্বিধাহীন বঞ্চনার মরণ,
দিনগুলি শুধু ভালবাসা কিনেই কাটালি।


তুই ভালবাসাটুকু নিয়েই থাক,
আমার ঝুলিতে এখনো কিছু;
অবিক্রিত ভালোবাসা, খুচরোখাচরা, মুড়িমোয়া;
তুই বুড়ি হয়েই থাক ওই ঘরে,
ওখানে আর যাই হোক – পাপ নেই, বিশ্বাসঘাতকতা নেই।


আমি পথ হাঁটছি।
আমি পথ হাঁটছি।