আমার শোণিতে মিশে থাকে গ্রাম,
আমি নির্বাপিত হৃদয়ে কবিতা লিখি সেরা কলমে গ্রামের বিষয়ে,
বাজারের বাছাই করা সেরা পাতায় সেরা কবিতা গ্রাম নিয়েই,
ভাবনার বাড়িগুলোর মধ্যে থেকে বেড়িয়ে মাঝরাস্তায় আনি গ্রামকে,
সুশীতল বাতাস, জল আর সোঁদা মাটির মত -
ক্লিশে হয়ে যাওইয়া শব্দগুচ্ছ নিয়েই একের পর এক লিখে চলি,
গ্রাম নিয়ে কবিতা – এক আকাশ-তারা-শোভিত সেই সব গ্রাম।


আর একদিন আমার নিজের গ্রাম থেকে,
এক হাটুরে মানুষ আমার গাড়িবারান্দায় আশ্রয় চায়,
আজকালকাল ছেলেরা যেমন রাস্তায় ফুটবল খেলতে পছন্দ করে না;
আমি ভীষণ না-পছন্দ করলাম তাঁর উপস্থিতি,
দুপুরের সামান্য খাবার না দিয়ে তাকে উৎসর্গ করলাম গ্রাম নিয়ে একটা কবিতা।
তাঁর নিরব কষ্ট ছুঁল না আমায়, চলে গেল বিচ্ছিরি একটা গদ্যের মত!
এঁরা কবিতা বোঝে না!
বরং বোঝাতে চায় গ্রাম মানে সুশীতল বাতাস, জল আর সোঁদা মাটি নয়,
গ্রাম মানে কবিতাও নয়।


অথচ আমি গ্রাম নিয়ে কবিতা লিখি ছমছমে সময়ে, নামে, বেনামে,
আমি গ্রাম দেখিনি কোনদিন।
চারদিকে গ্রাম নিয়ে কোন বিজ্ঞাপনও দেখিনা যে –
গ্রাম নিয়ে আরেকটা কবিতা লিখব।
আমার দুর্লভ আসবাবে মোড়া কামরার কোনে রাখা লেখার টেবিলে,
শুন্য, সাদা পাতা উড়ে যায় পরপর,
আর কবিতা আসে না।