একটু না হয় পড়লি শাড়ি বাসন্তী রং,
একটু না হয় উঠল হাওয়া মাতন মাতন,
একটু না হয় বুকের আঁচল উড়েই গেল,
একটু না হয় চোখের পাতায় লাগল কাঁপন।


বিজ্ঞাপনের ছবি দেখেই কাটল সময়,
গরম দুধে নরম শীতে আসছে ফাগুন,
একটু না হয় কাশ্মীরেতে বেড়িয়ে আসা,
বরফসাদা দুই গালেতে নামুক আগুন।


খড়ের গাদায় মুখ বাঁচিয়ে শাড়ির দোকান,
বলতে পারিস বাসন্তী রং বিকোয় কেমন?
‘দুর পাগলী, উঠতে গিয়েই ফস্কে গেলি!’
হাতের পাতায় মেহেন্দি রং মুছলে যেমন।


পায়ের নিচে গিরগিটি আর সাপের বাসা,
একটু না হয় সব মিলিয়ে ধন্ধে থাকা,
তুমিও জানো, আমিও জানি এই বিকেলে,
একটু না হোক বিষণ্ণ মন রথের চাকা।


ন্যাপথালিনের গন্ধ ঠাসা শীতের পশম,
একটু না হয় গরম হল রোদ ভাসিয়ে,
‘তুই ও পারিস একটু না হয় তাকিয়ে ছিলি’
‘একটু না হয় রোদ কমালি চোখ হাসিয়ে।’


একটু না হয় বাড়ির নিচে ঝর্না ঝরুক,
আর পারি নে থাকতে একা মেঘের মতো,
পাড়ার মোড়ে রিক্সা ডেকে ওঠাই তোকে,
পিছন পানে থাক পরে থাক সময় যতো।