কোথাও খুঁজে পাবে না ঠিক দেখে নিও,
আলোর মায়ায় লুকিয়ে রাখি আস্ত ফাঁকি,
ট্রামের পিছে বিজ্ঞাপনে দৃষ্টি অলস,
আবার সেটাই সত্যি বলে নিদান হাঁকি।


ছাদের ওপর খাপখোলা চিল, শুন্য বাতাস,
‘কি ফেলেছিস পিছদুয়ারে মায়ার ছলে?’
ওমনি খাঁ খাঁ চাঁদের বাড়ি অনশনে,
প্রাচীন পাড়ায় মস্তানি হোক পৃষ্ঠবলে!  


দরদালানে শুক্তোবড়ি রোদপোয়ানোর ঝুঁকি,
আমায় মোটেই ডাকিসনিকো ঘরে,
সন্ধ্যেদুপুর মুর্দাফরাশ খাটকাঁপানো শেষে,
বেশ খানিকটা ভুগেছে রাত, অনেকখানি জ্বরে।


ডিসেম্বরেই নামবে শীত ঐ অ্যান্টেনাতে,
বরফকুচি ছড়িয়ে দেবে গুপ্তকথা,
ইলশেগুড়ি মাথায় নিয়ে আঁচল আঁচল,
রিংটোনেতে তোমার আমার অস্থিরতা।


শেষ গল্প শুনেছিলাম দিদার মুখে,
এখন হয়ত মারাই গেছে গপ্পোবুড়ি,
গল্প শোনার অভ্যেসটাই নিচ্ছি টুকে,
আজ অবেলায় তোমায় নিয়েই গল্প করি।


গোলপার্কের তিনটে বাড়ীর পাশের গলি,
সাদা কালোয় থমকে আছে জেব্রাক্রসিং,
আজকে হঠাৎ খুঁজতে গিয়ে সেই বাড়ীটাই, দেখি -
অনেক রাস্তা, অনেক গলিই স্মৃতির ফসিল।