কি ভাবে জলের কাছে হাত পেতেছি,
আজ আবার শুদ্ধ হওয়া হৃদয় চেয়ে,
নিভৃতে দেখাই তোমায় গোপন ঘরে,
কিভাবে বাড়ছে বারুদ তোমায় পেয়ে।


পুর্নচাঁদের আলোয় তোমার গ্রীবায় চুমু,
নিরব রাতের তারার সাক্ষী গ্রামের বাড়ি,
ব্যালেরিনার জুতো আজও পড়েই আছে,
আজও নাকি মেঘের ঘরে পাতছো আড়ি?


এক একটা দিন স্টেশন ফাঁকা পড়েই থাকে,
মালগাড়িতে শান্টিং দেয় খেয়ালখুশী,
দুরের কোন পয়েন্টসম্যানে ঝুলন সাজায়,
সাজিয়ে রাধা করব তোমায় কদমবুসি।


মাসকাবারি মাইনে পেলে নীল লেফাফা,
এক আধটা দিন অন্ধকারে খুশীর ছোঁয়া,
সুযোগ পেলেই বাড়ির পানে হাঁটতে পারি,
চাইলে তুমি হতেই পারি টাঁড়বাঁড়োয়া।

মন খারাপের দিনেই যত গল্প আসে,
বাঈজী পাড়ায় আটকে পড়ে মনের দড়ি,
মনের গোয়াল শুন্য পড়ে, হারবে বলে,
সারা আকাশ মেঘাচ্ছন্ন, কাটছে ঘুড়ি।


হাসির কথায় উদ্বেলিত রক্ত বুকের,
রাস্তাপ্রদীপ নিভন্ত, তেল পুড়েই কালো,
কালকে রাতের সফর শেষে বল তো কারা -
তোর শরীরে জবরদস্তি ভাগ বসালো?