এ শহর স্বপ্নবুকে মাপছে তোকে ঘুমের ভেতর,
কতটা জল আর কতটা বাষ্প হলে তুই -
শিরায় শিরায় বকবকানি ক্ষান্ত হলে তবেই -
এক নদী জল ঢেলে আমি তোর পাশেতেই শুই।


ঋতুর ডাকে ঋতুমতি লজ্জা ঘেটে ঘ,
ধানের শিষে অহংকারও ছিলো,
এমন মাটি! এমন আলো! ঘুমিয়ে ছিলাম আমি!
আজ সকালে ডাকপিওনে আমায় ডেকে দিলো।
  
ওঠ ছুঁড়ি তোর কালঘুমেতে সন্ধে ঢলে যায়,
শাড়ি জামা যা আছে সব পড়েই নাহয় থাক,
তোরঙ্গ আজ খুলব রাতে তীব্রদহন জ্বালা,
কেবল আমিই দেখব তোর ঐ নদীর গহন বাঁক।


পাতা টিপে ঢাকছে কপাল, নিজের বলতে নেই,
জলের আওয়াজ, হাতে আঁকা নন্দী বাড়ীর রোয়াক,
মনে ছিল পুকুরপাড়ে মন খারাপের দিনে -
বলেছিলি - আর খানিকটা বৃষ্টি মোদের ধোয়াক?


মনের অবুঝ গুঁড়ো যখন ভ্রমমাখানো চোখ,
আর রাখিস নি ধরে সেথায় অমন বিষণ্ণতা,
অনেক কিছুই মনের মতন নাও তো হতে পারে,  
হতেই পারে তুলতে গিয়ে হাত ফস্কে – যাঃ!


তবুও কেন পুজোর থালায় শুকোয় বাসি ফুল?
কারে তুই পুজিস ওরে উঠোনপানে চেয়ে?
মাছ-আঁকা এক সবুজ পুকুর তোর জন্যই আছে,
গালের ব্রন মিলিয়ে যেতে দিস নি ওরে মেয়ে।