হাপিত্যেস বসেই থাকা অনন্ত হয় যেন,
সারা শরীরে অনেক অসুখ, বেলা শেষের গানে,
খোদা তোমার ডাক যেন এক্ষুনি না আসে,
আরো খানিকটা ভালোবাসায় জীবন ভিজুক স্নানে।


লোহার গারদ ভেঙ্গে তুমি আকাশ খুঁজে নিও,
বাঁধন-জীবন না পোহাতে অশ্বক্ষুরাকৃতি,
আরো একটা নারীর জীবন মন খারাপের দিনে,
পুরুষ না হয় বিষণ্ণ মেঘ, অনাহুতের স্মৃতি!


অনাগতয় দ্রবীভুত ভীষণ চেনা শয্যা,
মাঠ পুড়লেও চাষির মেয়ের অবিক্রীত শস্য,
ঘুমন্ত মুখ রাত গিলেছে অলকানন্দা জলে,
তবু জানি শেষ বিকেলে নীরব হবে ভস্ম।


অন্তর থেকে যাচ্ছে ছিঁড়ে এক একটা মুখ,
জলে কি আর তৃষ্ণা মেটে ও মায়াবি নারী?
সোনালী শস্য বাহারী মাঠেরই শোভা বাড়ায়,
আলোকাধাঁরে পাথরনুড়ি সাজানো আমার বাড়ি।


কীর্তিনাশা পরিশীলিত বেদনাঘন পথে -
সুখের দোকান থেকে কেনা সংসার হারাবো।
পরান্নভোজী জীবনসেবায় গলায় গলায় সুখ,
আর কতটা দৌড়ে গেলে তোমায় ছুঁতে পাব?
      
আসছে ঋতু, তাঁর আয়োজন, বিচিত্র ঢাকঢোল,
পাগল বাউল গান ধরেছে মুঠোয় ধরে আগুন,
তাল নয় গো, সুরের মায়ায় আবছা শরীর-মন,
ঋতুর পালা সাঙ্গ, শুরু তোমার আমার ফাগুন।