মন খারাপের বেলায় এমন নিদাঘ মেঘের দাপট,
সর্বনেশে গ্রীষ্ম এলো রুদ্রপোষক হয়ে,
হা-সুখ, হা-সুখ করেই কাটে কলমপেষা পদ্য,
একফোঁটা জল নামুক না হয় আমার তুমি হয়ে।


সকাল থেকেই বৃষ্টি নিঝুম অঝোরধারায় জল,
শব্দগুলি বিন্দু বিন্দু বৃষ্টি গুড়ি গুড়ি,
অবাক চোখে শুনছি কেমন অবিমিশ্র বোধে -
রিনিঝিনি শব্দ - যেন তোমার কাঁচের চুড়ি।


সাদা মেঘের শরৎ যেন কাশের ফুলে ভোর,
পরিপুষ্ট ধানের আগায় তোমার নুয়ে পড়া,
এমন দিনে ধাইমা, তোমার আঁচল বুকে নিয়ে -
টুকরো ক্ষতচিহ্ন বুকে পেঁজা মেঘের ওড়া।


হালকা শীতের আভাস ছুঁয়ে গড়িয়াহাটের মোড়ে,
মাঠের বুকে ঘাসের গন্ধ সেই সময়েই ঠিক –
হেমন্তের সন্ধ্যা মেখে দাঁড়িয়ে ছিলে তুমি,
সর্ষে-হলুদ ক্ষেতে আমি দারুন নির্ভিক।


পদ্য লেখা যাচ্ছে চুলোয় হিমহিমে এক ভোর,  
সুয্যি ছড়ায় পদ্য-সোনা, বিলায় আলোর চাবি,
এক মাঘেতে শীত আসে আর আরেক মাঘে যায়,
হৃদয়জুড়ে শীত ছড়ালে, আমায় কি আর পাবি?    


আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে, টেনে ঘরে নিয়ে আসি,
তবু কবির মত হয়ত পাইনি কাব্যজলের থই,
বসন্ত নিয়ে ছেলেখেলাও সাঙ্গ হবে কাল,
এত করেও তোমার মত পদ্য আসে কই!