ঋতু আগমনে উচ্ছল আজ কুমারী,
আগুনে পোড়াতে আরো খানিকটা পুড়ে পুড়ে যাওয়া,
ছাদের কিনারে ডাংগুলি খেলা জীবন,
ভরা যৌবনে সমুদ্রে নাও বাওয়া।


চিরহরিতের দেশে তোমাকে আদুল চাই,
আর কতখানি সবুজ হলে তবে মুক্তি?
প্রজাপতি-সুখে বর-বউ খেলা কামুক কামুক জল,
ভাত বেড়ে দেবে, না খুঁজেই কোন যুক্তি।

কোজাগরী এসে রেখেছে পায়ের চিহ্ন,
গনসঙ্গীতে পাড়া প্রকম্পমান,
সোনার মুকুটে শোভিত মিষ্টি পাশের বাড়ির মেয়ে,
শুধু ছুঁয়ে দিলে এই অবেলায় স্নান!


আলপনা তবু পাতকির হাতে নষ্ট,
একা ফেলে ফেরা নাটকের শেষ পর্দা,
পুড়ে যেতে থাকে নিঃসঙ্গ এক পুরুষ পুরুষ অবয়ব,
সঙ্গম চাও? সন্তান চাও? সীমাহীন স্পর্ধা!


ভোরবেলা উঠে আলোয়ান গায়ে হাঁটা,
রাস্তার মোড়ে, যেখানে সেখানে, বাঘ থাকতেও পারে,
সাবধানে ফেরো, তোমাকে না ছুঁয়ে ফেলে -
অভুক্ত শিশুর মায়াচোখ চুপিসাড়ে।  


আর কোন রাতে যদি ফিরে আসি,
আবার যদিবা মনটা ভীষণই খারাপ খারাপ হয়,
পাশে পাবো তো তখন তোমায় সজনী ওগো?
ফিরে তাকাতেই আজকাল বড় ভয়।



(‘মন খারাপের দিনে’ এই সিরিজের এখানেই সমাপ্তি। সবাইকে দিচ্ছি ইংরেজি শুভ নতুন বছরের আগাম আন্তরিক ভালোবাসা, খুব ভালো কাটাও সব্বাই সারাবছর)