ও মেঘ, তুই এলে তিনশ তেত্রিশটা মোমবাতি জ্বালাতাম,
ও মেঘ, তুই এলে কুচি তুহিনের গোলাপী জামা,
তুই এলে মেঘের ভেলাতেই বানাতাম তোর বাড়ি,
আর তুই এলে স্নিগ্ধ স্নিগ্ধ খুশী।


আর সেই তুই –
এত ভালোবাসা তুচ্ছ করে চলে যাস,
কখনো গর্ভে, কখনো রাস্তায়, কখনো পোড়া কামরায়,
কখনো খোলা মাঠে উলঙ্গ, কখনো সিঁদুর সিঁদুর কপালে,
কখনো দলা পাকিয়ে যাস নিয়ে সারা শরীরে গোলাপের কাঁটা,
কেন আমি দেখি ক্রুশবিদ্ধ হতে তোকে বারংবার!


অথচ তুই এলে আমি জোনাকির ঘর সাজাতাম,
আমি কান্নায় ভেঙে পরে তোকেই আঁকড়ে ধরতাম,
ও মেঘ, তুই এলে অযথাই ভিজে যেতাম দুহাত বাড়িয়ে,
তুই এলে তোর হাতেই রাখতাম আমার হাত।


জানি এই সবই প্রাকজন্মের প্রাককথন,
তবু তোকে কাছে পেলে -
আমি নিজেই একটা কবিতার মত পথ চলতাম,
বারেবারে নিজেকেই ভেঙে নতুন ভাবে গড়তাম।
আজো ঘুমের ভেতর কিছু কচি কচি হাত,
আমায় পরজন্মের গল্প শোনায়, আধো আধো স্বরে।