আমি দেখছি জঙ্গল শুরু হবার আগেই,
সারি সারি খাটিয়ার বিছানা,
এমুড়ো-ওমুড়ো প্রায় সাদা বিছানার ওপর কুমারী অথবা নারীর দেহ,
কারো পেট খোলা, জন্ম-গ্রন্থি উন্মুক্ত,
চোখ অপলকে ঈশ্বরের পানে স্থির,
নিচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে লগ্ন-ভ্রস্ট ভ্রুন-কাহিনীর স্রোত,
তুমি না জেনে, অর্ধেক জেনে কি করে লিখে যাও কবি?
নিজে চোখে দেখেছ কখনো? -
বেশ ঘন জ্যোৎস্না সরের মত আচ্ছাদন পরিয়ে যাচ্ছে একের পর এক দেহকে?
হে ঈশ্বর, তোমার পাপের বাগান যে ভরে যাচ্ছে আগাছায়,
গর্ভপাতের রক্ত ছড়িয়ে যাচ্ছে বাগানের প্রতিটি গাছের শিকড়ে শিকড়ে।
ওরা বোকা,
ওরা ঋতুমতী হলে খুশি হয়,
ওরা ব্যাভিচারকে ঘৃণা করে,
ওরা নিজেরাই জানে না যে ওরা মুর্খ, কত মুর্খ।
আজ জঙ্গলে ঢোকার ঠিক আগে প্রত্যক্ষ করা যায় -
গর্ভপাতের চিহ্ন গড়িয়েছে পায়ের গোড়ালি অবধি।
ডুবে যেতে আর বেশী দেরি নেই।