মাঝে মাঝে এমনও হয় যে –
কালি, কলম, পেন্সিল, ভাবনা – সবই রয়েছে মজুত,
তবু কবিতা লিখতে ইচ্ছা করে না।


চোখের সামনে দিয়ে দেখছি,
একে একে ভাবনারা, বেশ নিত্যনতুন –
আসছে, চলে যাচ্ছে, আবার আসছে, মিলিয়ে যাচ্ছে একটু অপেক্ষা করেই,
জানি ওরা ভীষণ অভিমানী,
জানি ওরা অল্পেতেই হারাতে চায়,
আবার এও জানি হৃদয়ে ধারণ করতে চাওয়ারও একটা সময় আছে,
সে কবিতা হোক বা নারী।
তবু লিখতে ইচ্ছা করে না।


বেশ একটা প্যারাম্বুলেটর থাকত,
নিদেন পক্ষে একটা মসৃণ রাস্তা, মোরাম-বিছানো,
আমি ঘষটে ঘষটে চলে যেতাম তাঁর কাছে,
শুধু একটিবার দেখা করে আসতাম; আর বাড়ি ফিরে দেখতাম,
আমার অবহেলে রাখা ভাবনাগুলো দিব্যি হাসি মুখে অপেক্ষারত,
শুধু বেছে বেছে খাতায় সাজাতে যতক্ষণ; অথবা –
ল্যাপটপে; কতক্ষনই না বা আর!  


জানি লেখার ইচ্ছেটাও ফিরে আসতো; লিখতামও; ইস –
যদি আমার একখানা অন্তত পা থাকত।