এতো দেরি করিয়ে দেয় না!
ভীষণই বিরক্তি আঁকড়ে ধরে বারে বারে,
এতো দেরি করিয়ে দেয় না এরা, কারনে-অকারনে!


বিস্রস্ত চুলগুলো উড়ছিলো ময়দানের হাওয়ায়;
আমার সামান্য নামানো কাঁচের ওধারে সবুজ সালোয়ার,
ঠোঁটে হালকা রং, গোলাপি বাকিটা, ঠিক চেয়েও দেখিনি,
কেবল হাল্কা তাকিয়েছিলাম আর সেইমাত্রই – ‘ক’টা বাজে?’
গলার স্বরে খুব চেনা চেনা মনে হওয়ায় দেখি -
নাঃ চিনি না তো!


খুবই কি দেরী হয়ে গেল পৌঁছোতে কোথাও,
অথবা হয়ত সময় আসেনি, যেখানে পৌঁছোবার,
দায়সারা জবাব - ‘চারটে বেজে দশ’
আমার ইনোভা পরমুহুর্তেই খুঁজে নিতে চায় ফাঁকা পথ,
দেরী তো আমারও হচ্ছিল।


মুহুর্তে অস্ফুট হইচই,
আমার আদরের গাড়ির বদ্ধ কাঁচ ভেঙে যেটুকু শব্দের দলা ভিতরে আসে,
অনেকক্ষণ চেপে রাখা মুখ-উপচে আসা বমির মত......
একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে,
কিংবা চাপা পড়ে গেছে, অসতর্কতায়, কোন এক গাড়ীর নিচে,
ব্যস, রাস্তা জ্যাম।
অথচ আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে ভীষণই।


আমি বিরক্ত; এরা এতো দেরি করিয়ে দেয় না!