কাল সারারাত দৌড়ে দৌড়ে ভীষণ ক্লান্ত,
আরেকটু শুতে দাও, এখনো কি রাত ভেসে যাচ্ছে না?
কাল রাতের চকচকে চাঁদের কনামাত্র শুকিয়ে যেতে দাও,
পুবের বারান্দায়, খানিক অন্যমনস্ক চড়াইয়ের ডানায়,
একটু বোঝার চেষ্টা কর, আমি ভীষণ ক্লান্ত।
আমি খুব কষ্ট করেই শিখেছি, শিখেছি কাকতাড়ুয়ার মত অধ্যাবসায়ে;
কি ভাবে রাতের প্রতীক্ষা করতে হয় দিনের আড়ালে আবডালে।
কিছু স্বপ্ন, কিছু মড়া মাকড়সা, কিছু চৈতন্যহীন ঝিমুনি,
রাতের মেঘে কত রং – সেও তো একটা দেখার অভ্যেস।
তুমি তো সকাল হলেই বেড়িয়ে পড়বে, মিশে যাবে পলকা হাওয়ায়,
আর আমিও সকাল হলেই সভ্য মানুষের পোশাক পড়ব,
সকাল হলেই চা বানিয়ে রেখে যাবে টি-পয়ের ওপরে,
পাশে নিপাট দৈনিক, দুপিস আগুনে ভেজা টোষ্ট।  
জানো আমি ক্লান্ত ঠিকই, তবে তুমি চলে গেলে আর ঘুম আসে না,
আসে না কবিতা; যেমন রোদের ভয়ে আসে না জ্যোৎস্না।
আর রাত শেষ হলেই তো সেই সাদাকালো চৌখুপ্পি রোদ -
ঝাঁকিয়ে দিয়ে বলে যাবে – এমন রাতের শেষের দিকেই তো খবর ছিল-
‘বাবা আর নেই’।