কৈশোরে তোমার ওড়না ছুঁয়ে জিলিপি খেতে খুব ভালোবাসতাম,
শুধু জিলিপি কেন, বুড়ির চুল, কদমা-বাতাসা, তিলের নাড়ু,
তোমার রোদ-ভাসা চোখে চোখ রেখে ভেবেছিলাম;  
বড় হয়ে একটা জিলিপির দোকান দেব,
(স্বপ্ন তো একজন কিশোরের জন্মগত অধিকার)।
তখনও তোমার ওড়না না হয় ছুঁয়ে থাকবে আমায়,
নয়ত বেচব কাঁচের চুড়ি, টিপের পাতা, রেশমি রুমাল....


বড় হয়ে বেশ একটা গুছিয়ে দোকান দিলাম, সেই মেলার মাঠেই,
অথচ পাশে ওড়না নেই সে বিশ্বাসটাও আঘাত খাচ্ছে দ্রুতগতিতে,
তাকিয়ে দেখি সব দোকানই বন্ধ,
বোধহয় সবটাই বিক্রি হয়ে গেছে, সবাকার সবটুকু,
তবুও বসে আছি সাজিয়ে কাঁচের চুড়ি, টিপের পাতা, রেশমি রুমাল....


শেষ বিকেলে রাখাল ছেলে ঘরে ফেরার পথে,
বলে গেল – সন্ধ্যে নেমে আসছে;
অন্ধকারে হাঁটা দেবার সময় এসেছে।
বোধহয় অজান্তে কখন জীবনটাকেই তোমার কাছে বিক্রি করে বসে আছি।
তবুও স্বপ্ন না দেখাকে ঘেন্না করি বলে,
বসে আছি সাজিয়ে কাঁচের চুড়ি, টিপের পাতা, রেশমি রুমাল....আজো।।