কবিতা লিখতে খুব খারাপ লাগে; মাঝে মাঝে,
কি সব আমি’র সঙ্গে মামি;
অথবা ভ্যাবলা’র সাথে তবলা মিলিয়ে মিলিয়ে লিখে যাওয়া;
সেই সমুদ্র, নদী, উপত্যকা, অরণ্য, নয়ত নাগরিক সমস্যায় জড়ানো ন্যাকড়া,  
যত্তসব ছাইপাঁশ আর মুল্যবান সময়ের গর্ভবান অপচয়।


আর লিখব না ভেবে কলম গুছিয়ে রেখেছি;
কবিতার খাতা নিপাট ভাঁজে বালিশের পাশে, আর আমি -
বেয়াদপ স্বপ্নের মত চাদরচাপা দিয়ে সটান রাস্তায়।


এক অকারন মন খারাপের দুপুর শুরু,
যেমন চোখের চশমা হাতে এলে ঝাপসা ঝাপসা ভাব,
অসমান্তরালে রাখা বাড়ির চেনার রাস্তার পাশে দেখি,
ঝোপের আড়ালে, দোপাটির ফুল ঘেঁষে তারা দাঁড়িয়ে আছে।


ওদেরও মন ভীষণ খারাপ,
আমি ভাস্কর নই বলে আঁকতে পারছি না তাদের চলন্ত কষ্টের কথা।
কি জানি রাতে বৃষ্টিতে ভিজে যাবে কিনা,
কি জানি ভোরের শিশির লেগে মুছে যাবে কিনা -
এত দিনের জমিয়ে রাখা কষ্টের এক একটি দাগ,
তাই দুহাতে তুলে নিয়ে এলাম তাদের।
প্রাগৈতিহাসিক কিছু কবিতার খাতা খুলে, দিই ওদের সযত্ন আরাম।।