আমি আমার সবটুকু দিয়ে দিচ্ছি তোমায়, হে ঈশ্বর,
আমার জামা, জুতো, যা কিছু পরিধান,
হাতের আংটি, ঘড়ি, মানিব্যাগ,
পকেটের জমানো খুচরো পয়সা, আগামী নাটকের টিকিট,
আমার চশমা, প্রিয় পুস্তক, মায়ের শেষ সেলাই,
বাবার নস্যদানি, বোনের বুনে দেওয়া শেষ সোয়েটার,
আমার লেখার টেবিল, বৈঠকখানা, মায় বাড়িটাও।


বিনিময়ে শব্দ দাও, হে ঈশ্বর,
শব্দের অকৃপণ ভান্ডার, রাশি রাশি রাশিকৃত,
রোজ রোজ সীমান্ত ছাড়িয়ে সীমাহীন ভাবাতে চাইবে যারা,
যাবতীয় জীবনের মাপজোকহীন ছক উল্টে দিতে চাইবে অঙ্গুলিহেলনে,
কিছু কাঁচভাঙ্গা, কিছু জানোয়ারী-মনোবৃত্তি-সম্পন্ন।
      
আমি মনে্র মত করে সাজাই তাদের,
পর পর, যেমন ইচ্ছে তেমন, করে তুলি বাধ্য।  


বিনিময়ে শুধু চেয়ো না আমার প্রেমিকাকে,
ওকে দিলে আমি শব্দ নিয়ে কি আর করব,
কবিতাই ধরা দেবে না যে আর!