মেয়েবেলায় মা চোখে সর্ষের তেল দিয়ে বলত,
পড়তে হবে খুকি, তাই জেগে থাক,
ভীষণ অভিমান আসত জলের মত।


পরে জানলাম সেই মায়ের সাথে গোপন রাত্রে
এক মানুষ কেমন করে বাবা হয়ে যায়,
ক্রমশঃ স্পষ্ট সামাজিক পরিচয়।


আবারো এক মানুষ,
আরো এক রাত্রির গোপনীয়তা,
আমি জানলাম আমারও শরীরের অজস্র কবিতা,
আমায় না জানিয়েই অন্যের বাবা হয়ে গেল...সেও।


আজো চোখে জল,
আজো ঘুম আসে না,
আজো একটু ঘুমোতে চাই,
আজো পড়ে চলতে হয় জীবনের শেষ ক’টা পাতা।


  
আসরের সকল কবিবন্ধুদের জন্যঃ-----
বন্ধুরা, আমি আগামীকাল সাতসকালে উড়ে যাচ্ছি ঢাকা, বাংলাদেশ। বিমানবন্দর থেকে সোজা রমনা হোটেল, এ বিষয়ে আমাকে প্রভুত সাহায্য করছেন এই আসরের কবি আগুন নদী। অন্যতম কবি কবীর হুমায়ূন আমাকে সতত সাহস জুগিয়ে যাচ্ছেন, পাশে আছেন কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল। এদের কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ। ফিরে আসব ২৩শের সন্ধ্যেবেলায়। তাই এ কদিনের কবিতা আমার হয়ে আমার পাতায় পোস্ট করে দেবার দায়িত্ব দিয়ে গেলাম কবি মিতা চ্যাটার্জীকে। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি ফিরে এসে আবার আগের মত সবার কবিতা পড়ব, জানাবো কেমন ঘুড়লাম আর সাথে করে নিয়ে আসবো ‘শতরূপে ভালোবাসা’ (যে ক’টা সংগ্রহ করতে পারি) এই আশা রাখি। আমার জন্য প্রার্থনা আর দোয়া কামনা করি। ভালো থেক সবাই।