একের পর এক ঘাট পেরিয়ে যাচ্ছে নৌকা,
তবু মানুষীর ঘাটে ভেড়াচ্ছে না মাঝি কিছুতেই,
নামব বলে পা বাড়িয়েই আছি,
দুরে দুরে খোয়াইয়ের ঢালের মত উচ্চতায় কেল্লার সারি,
ওখানে কি মানুষী থাকে?
রোজ চুলে তেল মেখে উদোম শুকোয় -
সেদিনের মত কুড়িয়ে-বাড়িয়ে আনা সুখ?
খানিকটা বাঁচিয়ে রাখে আগামীকাল জ্বাল দিয়ে খাবে বলে।
একের পর এক ঘাট, পেরিয়ে যাচ্ছি কাঁধে ঝোলা মানুষীর পাল,
বীজ বোনা হবে ওদের কালরাত্রি পেরিয়ে গেলে,
আমি সাক্ষী থাকতে চাই,
ওগো মাঝি, ভেড়াও না একটি বার মানুষীর ঘাটে।
জাত মাটির গন্ধ চেনা আমি,
আলগোছে বাতাসে পাচ্ছি মানুষীর গন্ধ,
অবনমনে বুকে বুকে খোয়াইয়ের ঢাল,
ধামসা আর পঁচুইয়ের মাদকতায় কেটে যাবে,
রাতের পর রাত তারার চাদরের নিচে,
খড়ের গাদায় দেখতে চাই ঘুমন্ত মানুষীর মুখ,
তাতে তখনও লেপটে কালরাত্রি পেরোনোর সাক্ষী।
ওদিকের ভুলভাঙানির চর অঢেল জ্যোৎস্নায় সাঁতার কাটে,
কখনো বা কি অভিমানে হারিয়ে যায়,
দুটি কি একটি মানুষী সেই চরে,
আমি পাশে বসে জোনাকির মৃতদেহ দেখি।
ওগো মাঝি পিছনে তাকিও না, একটু হাত চালিয়ে।
এখনো কি আসেনি মানুষীর ঘাট?