নিভৃতে শাবল হাতে দরজা ভেঙ্গে ফেলি,
ভেতরে থরে বিথরে সাজানো অথবা ইতস্থত ছড়ানো;
নারীর শরীর, জীবনের ধাপে ধাপে স্থাপিত, একে একে;
অনেক রাস্তা উজিয়ে আসা তাবৎ প্রেমিকার -
জমানো পদশব্দ ধ্বনিত হতে হতে মিলিয়ে গেছে এই ঘরে।
ভোরবেলায় ঘাসের মতন জেগে উঠি,
সরাতে হবে, সরাতে হবে সব সব লাশ,
আলাদা আলাদা জড়ানো সম্পর্কের শাড়ির আঁচল,
গলায়, স্তনে, নিতম্বে – সর্বত্র মায়ার রক্ত সুতো সুতো।
সন্ধ্যা যেমন নিশ্চিহ্ন করে দেয় গোধূলীর লজ্জা,
রুপোলী মাছের মত স্থির চোখ - অনেক গভীরে,
এত স্বাভাবিক তোমরা আগে ছিলে না তো!
কি করে দেখাই -
আমি ছিন্নবিছিন্ন হচ্ছিলাম ধুলিধূসরিত দরজার এপারে।