আমার জন্য হামেশাই আমি অগোছালো করি সংসার,
সাজানো ফুলের পরিবার করি নিমেষেই আমি ছারখার।
আমি অবহেলে চালাচ্ছি কাঁচি, সবুজ মাখানো বৃন্তে,
নিজেকে নিজেই কিনেছি, তোমরা কি আর কিনতে?
তবুও কেমন হারাই নিজেকে, পদে পদে, ক্ষনে ক্ষনে,
চৌরাস্তায় চিৎকার শুনে ভঙ্গ দিচ্ছি রণে।
পাতালপ্রবেশ জলভাত মোর উঁকি মারি প্রতিপলে,
সন্ত্রাসবাদ ট্যাবলেট করে, গিলে ফেলি রাঙা জলে।
নির্ঝঞ্ঝাটে জীবন কাটাই জানলা বন্ধ করে,
ভাত পায়নিকো কারা যেন কাল, আজ চিৎকার করে!
দূর ছাই বাবা, কার ভাল্লাগে সকাল সকাল প্রতিবাদ?
হুহু জানি বাবা, ঘুঘু মারে থাবা, এখনো অধরা ফাঁদ।
এর চেয়ে ভালো, নিঝুম দুপুরে, মেয়ে-টেয়ে জুটে গেলে,
একেবারে সারি মধ্যাহ্নের ভোজ, জলখাবারটি ফেলে।
ঠোঁটের ওপরে সবে ঠোঁট জাগে, জানলায় তুই কেরে?
গর্ভের লোভে গর্ভপাতটি মানে মানে নাও সেরে।
পুর্বের পানে পুর্বপুরুষে, ঘাই মারে ঘোলা পাঁকে,
চোখ বুঝলেই পিছু ধাওয়া করে চুম্বন ঝাঁকে ঝাঁকে!
গুপ্তস্থানে হল কি পাঁচরা? ঘায়ে ভরে আছে মুখ?
দুরবীনে আমি মৃতদেহ দেখি, আতসে যৌনসুখ।
‘ধর্ষিতা’ মানে কাগজে তাকেই বানাও স্বয়ংসিদ্ধা!
কার সাথে আর সময় কাটাই, রাধাও হয়েছে বৃদ্ধা।।



বিধিসম্মত দোষস্বীকার -
শ্রীকৃষ্ণের সখী রাধা'র বার্ধক্যের কল্পনাটা চুরি করেছি কবি মিতা চ্যাটার্জী'র 'বসন্ত' কবিতা থেকে। চুরি করে নিদারুন আনন্দ লাভ করেছি। চিন্তনে খরা নামলে আবার চুরি করব।