একটা একটা করে তীর খরচা করেছি ভাষাতূণীর থেকে,
মেঘমন্দির থেকে সামুদ্রিক চুড়া,
তোমার খোঁজে ছাপিয়ে গিয়েছি নিজেকেই।


আলতামিরার গুহা থেকে তোমার পায়ের ছাপ,
অ্যান্টিকাইথেরার সমুদ্রগর্ভে পাওয়া তোমার কাঁকন,
ঈস্টারদ্বীপের কোনে কোণে তোমার যন্ত্রণা,
পেয়েছি খুঁজে কখনো তোমার কাজল মায়াসভ্যতায়,
কখনো বা তোমার ইশারা অর্ন্তলেখ মন্দিরের গাত্রে গাত্রে,
পিরি রইসের ম্যাপেও রেখে গেছ তোমার কান্নার বক্তব্য।


আমি একটা একটা করে তীর খরচা করেছি,
শুধু তোমায় খুঁজে পাবার জন্যই,
বাদ দিই নি শহুরে জঙ্গল থেকে ব্যতিক্রমী পাহাড়ি ইতিহাস।
আর একদিন এক গভীর জঙ্গলের ঠিক মাঝখানে,
এক শপিংমলে তুমি ধাপে ধাপে,
তোমার দামী চপ্পলের ছাপ রেখে রেখে উঠে যাচ্ছিলে উঁচু, আরো উঁচুতে.....


আমি ডাকতে চাইছিলাম; কিন্তু;
একটাও তীর আর অবশিষ্ট নেই আমার ভাষার তূণীরে।
শুধু এই কবিতার শিরোনামটুকুই আমার সম্বল।