এখন মাঝরাত,
আমার সদ্যসমাপ্ত কবিতার পাতায় ঘুমিয়ে আছে এক অসমাপ্ত মেয়ে,
অথবা ওরই বা কি দোষ,
একটু আগে অবধি নিদারুন কাটাছেঁড়া করেছি ওকে নিয়ে,
প্রথমে আগুন জ্বালিয়ে গুঁড়ো গুঁড়ো অস্ত্বিত্বের কুসুম জড়ো করা;
তারপর এটাসেটা করতে করতেই টিমটিমে আলো জানালো -
কবিতার শবব্যবচ্ছেদ শেষ, এবার জুড়ে দেবার পালা;
দেবার পালা এক পরিপূর্ণ গর্ভবতী মেয়ের রূপদান।  
আসলে কিছুতেই যেন সন্তুষ্টি আসে না।
তবে হোক কবিতা আমার কাছে মেয়ে নয়, নারীর মতন।
ও মুখ ফেরালে মায়াসভ্যতায় ফিরে ভিক্ষে করতে চাই,
ও মুখ ফেরালে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকব বাসরঘর সাজিয়ে,
ও মুখ ফেরালে চোখ বুজে ফেলি;
হয়ত চোখ খুললেই দেখে ফেলব ও আবার ঘুমিয়ে পড়েছে কুসুমগন্ধী জলে।
ও পরিপূর্ণ গর্ভবতী মেয়ে, আমি তোর গোপন ডুবুড়ি,
চিরটাকাল খুঁজে নেব তোকে দীর্ন জীবনযাপনে সামুদ্রিক শুক্তির মত,
নয়ত কবিতার পাতায়।