(আজকের কবিতা পড়ার আগে জানাই, প্রেমিক অথবা প্রেমিকাকে একান্ত করে নিজের মতো পাওয়া সব মানুসেরই ঐকান্তিক প্রয়াস, আর ঘটে আসছে যুগের পরে যুগ, আবার তাকে না পাওয়ার বেদনাটাও বড় কষ্টের। সেই আখ্যানের উপজীব্য - আজকের কবিতা)  


মুকুলিত সুবাসিত বনতল,
সলজ্জ সিঞ্চিত অঞ্চল,
যূথিকার সাথে সাজে শতদল, প্রতিপল।


মধু ঝরা গোলাপের গন্ধসুধা,
কাঞ্চন মালতীর তৃষিত ক্ষুধা,
রক্তজবায় ঝরে হলাহল, প্রতিপল।      


বীথিকার ঘুম যেন ঝরে যায়,
কার কথা যেন মনে পরে হায়,
রিক্ত ব্যাকুল মনে চঞ্চল, প্রতিপল।


দিগন্ত বিস্তৃত পুষ্প শোভা,
সিক্ত যূথিকা তনু-বিরহ-লোভা,
বেদনমগ্ন জুঁথি অবিকল, প্রতিপল।


  


(কবিতা পড়া শেষ হলে জানাই – এই কবিতাটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘মায়াবন বিহারিনী হরিণী’ গানটির সুরে ফেলা হয়েছে। এই গানটি কবি রচনা করেন ২৯শে সেপ্টেম্বর, ১৯৩৪, গানটির রাগ-ইমনকল্যাণ, তাল-কাহারবা)