খবর পেয়েছি তুমি আছো শৈবালদীঘিতে,
তাই ছুটে গিয়ে ধরে ফেললাম শেষ রানাঘাট লোকাল,
আমি জানি না শৈবালদীঘি কোথায়, মানচিত্রের কোন দ্রাঘিমাংশে,
তবে নিশ্চয়ই হবে কোন একখানে, হাঁটতে হাঁটতে ঠিক পৌঁছে যাব, আছে প্রত্যয়,
আপাতত শেষ ট্রেনে এক পাগল ভিখারি আর দেহব্যবসায়িনীর সাথে পিঠে পিঠ দিয়ে,
আমি গিলে ফেলতে চাইছি সেই পথের দুরত্ব,
যার শেষে জানি তুমি অপেক্ষায় আছো সব ক্ষত মুছে,
আমিও মুছে ফেলেছি সব’কটা চিহ্ন যা দুর্গন্ধময় স্মৃতির মত বসে গিয়েছিল,
চিবুকে, ঠোঁটে, গলায়, রোমশ বুকে।


তারপর কত দিন, কত রাত আমি ট্রেনে বসে আছি,
সেই পাগল ভিখারি আর এক যৌনসহকর্মীর সাথে পিঠে পিঠ দিয়ে,
শৈবালদীঘি আর কতদুরে? আর কতদূর পাড়ি দিলে এদের হাত ছাড়িয়ে –
আমি তোমার কাছে পৌঁছতে পারব?
যেখানে বকুল ছড়ানো পথে তোমায় শোনাবো আমার শেষ কবিতা।