জানলার পাশে দাঁড়িয়ে থাকাটাই যেন জীবন
আর একটা রাজনৈতিক দল হুংকারে প্রকম্পিত করে শান্ত ভাতঘুম জীবন
কারা যেন বনের পিছনে অশান্ত নিঃশ্বাস ঝাড়ে
কিছু কাল্পনিক সাহস সহসাই পিছনে এসে দাঁড়ায় লোকাল ট্রেনের মত
ক্রমেই গাছের থেকে একটা একটা পাতা ঝরে যায়
শেষ ফুল তুলে নিয়ে গেছে খুব ভোরে এক অন্ধ মেয়ে
জানলার পাশে দাঁড়িয়েও আটকানো যায় না সেই ঝরে পড়া
কাল রাত্রের মেল ট্রেনে চলে গেছে বসন্ত
অনেক দূরের জংশনে মালগাড়ি বলে গেলো আবারো সে আসবে       নিঃসাড়ে
আমি কি তবে ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে পড়ব লালমাটির পথ ধরে
জানি যাবার পথে বৃষ্টি নামতে পারে
দুলে উঠতে পারে জীবন আর যৌনতার সেতুটা
আমি পিপাসায় ছটফট করতে করতে কবিতার দিকে তাকাই
সে হাসে, - কবি, জানো কি জানলার পর্দার পাশেই বিষের পাত্র
হাত দুটো সামলে রেখো
            কি সাধ্য কলম তুলে রাখি পূর্নতার কুলুঙ্গিতে
তা কি করে সম্ভব যখন মাথার ভিতরে কুঁড়েঘর ধসে যাচ্ছে যখন তখন
রাত ফুরোলেই ফুলের পাঁপড়ি বেয়ে কান্না হয়ে নেমে আসবে শিশির
মদে চুর গৃহবধূ খুঁজে নিতে পারে আমার কোন এক কাব্যগ্রন্থ
অথবা সাজিয়ে গুছিয়ে তুলে রাখবে স্খলিত আঁচলে সযত্নে মুছে
কবি তোমার ঠোঁটদুটি সামলে রাখো
           কি সাধ্য আমি শতশত শ্যাওলার জন্ম দিই
           এক একটা চুম্বনের দাগ ধরে ধরে
জানলার সামনে থেকে সরে আসার সময় আমি খেয়াল করিনি
বিন্দু বিন্দু ধুলো জমে যাচ্ছে জানলার সূচিপত্রে।