এ ঘরে আজ আর কোন বাউলের গান নেই,
কাল বেশ গভীর রাত অবধি ছেড়ে যাওয়া খোলসের সঙ্গীত রচনা হয়েছে,
আর আমি বেশ নিঝুমে এক ছায়াঘেরা আশ্রমের পরিবেশ দেখছিলাম,
মতিবাউলের গহীন জীবন ছাপ ছেড়ে যাচ্ছিল ক্লান্ত বটতলায়,
খাঁ খাঁ জ্যোৎস্নার চাঁদোয়ার নিচে ঝরে পরা পাতার খসখস।


আমি গান শুনতে শুনতে এক বনজ ঔষধের খোঁজ করছিলাম,
দেখছিলাম এখনো কিছু লোভ, উচ্চাকাঙ্ক্ষা........অন্ধকারে,  
মতিবাউলের সুর চুঁয়ে চুঁয়ে গড়িয়ে যাচ্ছে কি না পাতায় পাতায়,
একসময় খুঁজেও পেয়েছি বলে মনে হচ্ছিল –
সাদা জমি লাল পেড়ে শাড়ি, আলতা-ছোঁয়া দুটি পায়ের ছাপ।
ও বাউল, দাও আমায় খোঁজ মৃত সোনার হরিণের; নিদেনপক্ষে -
এক বনজ উদ্ভিদ; যা আমায় জাগিয়ে রাখবে সারা রাত,
আমি বীজ পোঁতার শব্দে ভাববো এখনো বুঝি সৃষ্টি শুরু হয়নি,
যার ভরসায় নিভু প্রদীপকে সামনে রেখে শুনে যেতে পারি সব গান।


অথচ, সকালের দিকে ঘুমিয়ে পড়লাম ঠিকই,
উঠে দেখি ঘরের দরজা একেবারে বন্ধ, চুপ।