মানুষ মানে তো শুধু তুমি আমি নই,
আদিগন্ত চা বাগানের শেড-ট্রির নিচে অনাহারে মরে থাকা মানুষটাও তো ছিল,
ছিল মাসে একদিন ঘরে ফেরা নোনাজল উজিয়ে মেছো বাতাসে গা ভেজানো মানুষটাও,
ফিরে যখন যেতে পারছি না উলঙ্গের দেশে,
তখন কাপড়ের নিচের আমি-মানুষটা তো সবটাই রক্তমাংসের কাঠামো।


আমরা মানে তো শুধু আমি তুমি না,
গাইতি হাতে ঝড়ের সামাল দেওয়া কাকে বলে দেখেছ কোনদিন?


কারা যেন ঝাউবনে বালিতে মিশিয়ে গা,
অগ্রপশ্চাৎ কিছু না ভেবে দুহাত বাড়ায়,
দুদণ্ড কাটাই যদি তাদের সাথে, সবাই মিলে যদি দেখি ফসফরাসের ঢেউ -  
তাতে বুঝি অযত্ন হয় তোমার? আর যখন জানোই -
আমি প্রাসাদ দেখি না, দেখি না রাজকন্যের মত কবিতা,  
ভেঙ্গে পরে থাকা মৎসকন্যার ঘরে নিজেকে আমন্ত্রিত হতে দেখি।


আমি সমুদ্র নই, আমি নুলিয়া নই, আমি মৃতদেহও নই,
অব্যবহৃত কোন চাবির মত পরে থাকি ঘরের সামনেই,
তুমি হয়ত আমায় এঁটো চাঁদ নিয়ে কবিতা লিখতে দেখো নি; কিন্তু -  
দেখেছো কি নিপুণ যত্নে আমি তোমার সেমিজ সেলাই করি?