যে সব নারীর দেহ আরো গলে, আরো খানিকটা পচে গেছে,
তাদের ফোঁপানি চাপা দিই অনির্মিত বোকা চাদর দিয়ে,
ওদের মধ্যপ্রদেশ ফুলে ঢোল, হাত-পা-আঙুলে বেনামা নির্দেশ,
দুরবীন রেখো বন্ধু হাতে,
        আমরা সুরক্ষার দুর্গ থেকে ওদের শোভাযাত্রা দেখব,
        বেমক্কায় জ্ঞান-ফুল ছিঁড়ে রেখে দেবো,
        টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেবো ওপর থেকে,
        তবে সাথে রেখো নিশ্চিন্ত নিরাপদ দুরত্ব।


আর যে সব নারীর দেহ অবাক কংকাল,
আমোদের ঠাসবুনুনি – ওদের এভাবে পাওয়া সমীচীন নয়,
নাকে কাপড় চাপা দিয়ে চাইলে খুঁজে দেখতেই পারো;
ওই নারীদেহের মজ্জাহীন হাড়ের ভিতর ভালোবাসা – গুপ্তধন।
       কাপুরুষতার ঢাল বেয়ে নিবিড় পুকুর,
       ওদের চোখ – প্রচুর প্রচুর জলের মাঝামাঝি,
       হেলে সাপ আর ঝালকাঁকড়ার সাথে ওরা কি জানতো?  
       আমার খোরাক মেটানো অত সহজ নয়।


তবুও অনির্মিত বোকা চাদর দিয়ে ঢাকার নিচ থেকে,
ওদের ফোঁপানির শব্দ পাই।