আমায় আকাশ ভাবো না জানি,
আমি তো তোমার সুস্মিতার মতো তোমাকে ছোঁয়াতে পারি না নির্বাচিত তারামণ্ডলী।
আমায় আগুন ভাবো না জানি,
আমি তো তোমার প্রজ্ঞার মত দহনে যাপন করি না বিনিদ্র অভাবী রাত্রি।
আমায় তোমার স্নানের ঘর ভাবো না জানি,
আমি তো তোমার অহমিকার মতো নগ্ন হতে চাইব না বোবাস্বরে।
আমায় স্মৃতিও ভাবো না জানি,
আমি তো তোমার তমালিকার মতো দিতে পারছি না সুপুষ্ট ফসলের গন্ধ।
আমায় দেহহীনা ভাবো না জানি,
আমি তো তোমার দেবযানীর মতো ঠোঁটের কষে রক্ত ঝরাতে পারব না।
আমায় সুগন্ধ ভাবো না জানি তাও,
যেটুকু নিংড়ে দিতে হলে আমাকে সস্তার হোটেলে আশ্রয় নিতে হবে।
আমায় কুয়াশা, মেঘ অথবা দুর্লভ নারী ভাবো না সেও ভালো,
তবুও আমি তোমার মত কবির কাছে কবিতার মত প্রশ্রয় চাইতে যাব না।
বরং,
আমায় আটপৌড়ে শাড়ি অথবা পানকৌড়ি ভেবো,
আর কিছু দিতে পারি বা না পারি,
আরও এক হাতা উষ্ণ ভাত তুলে নিয়ে শুধোব,
‘আরেকটু খাবে, দিই?’