মাঝে মাঝে কবিতার ক্ষার-জল প্রবহমান হতে নারাজ হলে,
ভীষণ হাঁপিয়ে উঠি; সাংসারিক খরচ-খরচা বাঁচিয়ে কেনা –
কবিতার জন্য জল-ভাত, চা-পাউরুটি কিংবা মুড়ি-খই,
তবুও জানি অনেক দিন ভালো করে খেতে দিতে পারিনি,
অথচ রাতে রাতে বেড়ে চলা ঋনের ভার সেভাবে ঝেড়ে ফেলতেও পারে না;
কবিতা, আমার কবিতা।


আধা-পেটে, সোয়া-পেটে তবু সে আমায় মাঘীরাত্রে আজান শোনায় –
বলে ‘হাত দুটোকে ব্যবহার করতে শেখো কবি’; কলম ফেলে  -
একবার অন্ততঃ অবুঝ হয়ে ওঠো, দিগন্ত ছোঁয়ার কামনায় বাড়াও হাত;
দেখে নিও ঠিক -
দুহাত হবে ডানা, ইচ্ছে হবে আকাশ আর আমি –
তুষারদেশ-ফেরৎ রূপালী গাংচিলের স্বপ্ন এনে দেবো তোমায়।
‘তুমি শুধু জল-ভাতে সজীব রেখো আমায়, অপ্রেমে, অদেখায়, অশরীরে;
স্বপ্নের উঠোন পেরিয়ে আসতে যেন পারি তোমারই কলমে।’