আসলে তৃষ্ণার কোন অস্তিত্ব ছিল না,
আমি তৃষ্ণা বলে কাউকে চিনতামও না,
কতবার গড়িয়াহাট অথবা বেগুনটোলার ভেতরবাড়ির দিকে,
হঠাৎ চেনা মনে হলে কলপাড়ে, বাসন মাজার জায়গায় –
ওপাড়ার বসন্তের আধা বারান্দায় এক দৌড়ে ছুটে গিয়ে দেখেছি –
নাঃ তৃষ্ণা নয়। আমারই ভুল ছিল।
এমনিতেই তো ছায়ায় ছায়ায়, আঁচলে আঁচলে বেড়ে ওঠার গল্প শুনিয়েছি;  
তৃষ্ণাকে, জানিয়েছি খোলা বই রাখতে চাই জানলা বরাবর।
কিন্তু তৃষ্ণা বলে তো কিছুরই কোন ঠিকানা ছিল না; সবটাই এক বোধ।
আমি পশ্চিমদিক হারিয়েছি, হারিয়েছি যত লৌকিক নির্জনতা,
হারিয়েছি রাস্তা, হারিয়েছি পাথরজল, খুঁজে পাইনি বিজয়ার বিকেল।
যার অজুহাতে শুধু একবার জড়িয়ে ধরে বলব –
এই অসীম শুন্যের মাঝে কি শুধু তৃষ্ণাকেই পাবার কথা ছিল আমার?
ছিল না কি? হয়ত।