আসলে এ ভাবে কবিতা আসবে না, ভাবিইনি।
কবিতাকে ভেবেছিলাম তোমার মত, অনায়াস, সহজ উপলব্ধির মাধ্যম।
অথচ সেদিনও জানতাম না এভাবে পাশের বাড়িকেও আমন্ত্রণ জানাতে হবে,
আর মুখ ফিরিয়ে নেবে কাশফুল, কলমিলতা, পেয়ারার ডাল, ভাঙা কলসি।
আমি সেই সাদা মালঞ্চের পাশে রেখেছি একে-৪৭, অ্যাসল্ট রাইফেল,
তৃণবর্ণের পাশে বেছে নিয়েছি বালির শেল্টার,
আর কাঁটাতারের জমিতে গুছিয়ে নিয়েছি হ্যান্ড-গ্রেনেড অথবা ধরো আণবিক কিছু।
তুমি বোঝালে; সাদা তীরধনুক আর ধরতে নেই,
হাতের কাছের টিনের তলোয়ার জমা আছে নাকি শ্রেনীশত্রুর কাছে।
বড়(!) হয়ে গেলে অনেক অনেক অজানা শব্দের সাথে মোলাকাত হয়ে যায়। আর;  
ছেলেমানুষীতে আর কুলিয়ে উঠতে নাকি পারা যায় না।
জানলাম -
আমি আর অপু হতে পারব না, পারব না ফটিক কিংবা জাঁ ক্রিস্তফ হতে,
পারব না নিটোল এক্কা-দোক্কা বা ভোরের কবিতা হতে।
বরং খুব করে চাইলে আমি দেশভাগ হতে পারি।