সব সম্পর্কগুলোই বিক্রি করে দেব, ঘর বাঁধার দামে,
সব দীর্ঘশ্বাস, সব গন্ধ, সব মাধুকরী, বিনিময়ে চাইব কবিতার মহড়া,
খেপা যেমন করে আড়বাঁশি খুঁজে ফেরে নীরব চাঁদের আড়ালে,
তেমন করে আদিকৃষ্ণের কাছে বিক্রি করে দেব -
অযথা কৌতূহল, পরম ছোবলে ছোবলে বিষমুক্ত নাকছাবি।


এদিকে নতুন গজিয়ে ওঠা কলোনির যে অনির্বাচিত মানুষ -
খুঁটে নিল ভাদ্রের নর্দমা থেকে আদি সপ্তকের সুর -
বেঁচে দেব তার কাছে সব সম্পর্ক, সব ইচ্ছা, সব পরাক্রম; যখন -
সেতু ভাঙার শব্দ বেজে যাচ্ছিল দুরাগত রেলগাড়ির চাকায় চাকায়; আর -
শিমুলতুলোর নির্মেদ শরীর স্পর্শ করে রাতের অকারন রাত জাগাকে।


পরিত্রাণ নেই এইসব সম্পর্ক, গন্ধ, মাধুকরী, সুরেলা জগতের থেকে,
ব্যর্থ অভিনয়ে পাল্লা দিতে না পেরে অবশেষে পেতে রাখব ঘুম,
কারন রাত ফুরোলেই সেই সব বিক্রির টাকায় আমি কিনে ফেলব -
কিছু চন্দনের চিতা, কিছু প্রতিজন্ম, কিছু কিছু নির্লিপ্তির মোহ,
তোমাকে জানতেই হবে সৎ কবিরা শুধুই সম্পর্ক বেচে, নিজেকে নয়।


বর্তমান লিখিত কবিতা শেষ করতে নেই;
         প্রশ্ন থাকুক আগামী জন্মের জন্য,
                  মেঘ ফুঁড়ে জানতে চাইব - পীঠস্থানে প্রেম কই?
যত নক্ষত্র তত প্রেম - খাগের কলমে লিখে যাবে সম্পর্ক-বিক্রেতা কবি।
  
পরিশেষে শুনে নে ওহে মোহনবাঁশি, ওরে খেপা -          
অবিক্রিত কবিতার ঠোঁটে বেঁচে আছে মায়াবী আশ্লেষ।