অন্তর আজি, বিকশিত শুধু, মায়ের কথাই বলতে
জগৎজননী মা’র মতো স্নেহ -
কোথা দেখি নাই মা’র সম কেহ –
রক্তাক্ত তাঁর, পদে পদে প্রাণ, কন্টক-পথে চলতে।


চাঁদপানা মুখে, মা আমার মোর, সতত হাস্যময়ী,
দশ দিন আর নয় মাস ধরে,
গড়িয়াছে মোরে, ভিজায়েছে লোরে,
জড়ায়ে বক্ষে, সবার অলক্ষে, হয়েছে বিশ্বজয়ী।


আমি যে দুষ্ট, কত না কষ্ট, দিয়েছি আমার মাকে,
প্রতিবেশীদের সদা জ্বালাতন,
হাসি মুখে মেনে নালিশ-আবেদন,
আলতো শাসনে, বুঝতে দেননি, অনটন বলে যাকে।


অনটন, সে তো রোজকার রোজ, পয়সা যেটুকু হাতে,
সামান্য ভাত, ডাল, তরকারী,
পরনে মায়ের শতছিন্ন শাড়ি,
একঘটি জলে, তৃষ্ণা মিটিয়ে, ক্ষুধা বয়ে যায় রাতে।

তবুও পুজোয় নতুন পিরান, নতুন জুতোর তরে,
ধরেছি কত না বায়না, বুঝিনি –
দুখিনী মায়ের যুদ্ধ যুঝিনি –
অসহায়া মার দুচোখের জল ঝরেছে মাটির ‘পরে।


আমি আজ থাকি দোতলার ‘পরে, জামার অভাব নাই,
সবই আছে মা, যদি একবার,
পেতাম তোমার কোলটি আবার,
সকরুণ চোখে, শতবার মা গো, তোমাকেই খুঁজি তাই।