রবিবারের মাংসের সুগন্ধ নিতে নিতে ফোনটা এলো। আমার সদ্য প্রকাশিত কবিতা দেশের সবচেয়ে নামকরা পত্রিকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। সবাই ইমেলে জানতে চাইছে এর পিছনে কোন নারী, কোন অনুপ্রেরণা, কোন রক্তের স্বাদ!! অথচ বিশ্বাস করুন আমি সম্পুর্ন মাতৃপরিচয়হীন এই কবিতাটা খুঁজে পেয়েছি আমার নিজস্ব গ্রহের কিনারায়। এই জীবন, এই মৃদু হেসে চলে যাওয়া ট্রামরাস্তা কিংবা ভাটিয়ালীতে নিতান্ত অগায়ক মাঝির ঘামে সিক্ত ঠোঁট অথবা  নীল চোখের সেই ফরাসী মহিলা কবি দ্বারা পরিত্যক্ত একখানি ভেজা কবিতা - সবই তো সেই প্রস্তরযুগ থেকে লাল কার্পেটের আয়োজন পেতেছে আমার এই আলোচ্য কবিতার জন্য। এ কবিতা আমার সন্তান, সম্পুর্ন মাতৃপরিচয়হীন! কাল রাত্রেও একটু একটু করে আমি ওর গা থেকে মুছে দিয়েছি (পরম যত্নে) আমার অগ্রজ কবির ছাই, মাঝির ঘাম আর ট্রামরাস্তার ধুলো। হাল্কা হেসে বললাম - তোকে সভ্য করে পাঠাবো দেশের সবচেয়ে নামকরা পত্রিকায়। আমার (!) কবিতাকে বড্ড বিষণ্ণ, বড্ড মূক, বড্ড নগ্ন লাগছিল। বেইমান!