আমার শুন্য ঘর সঠিক অর্থে শুন্য নয়,
শুন্যতা কথা চালাচালি করে অনেকটা সময় ধরে,
নানান জাতীয় রাজধর্মের বার্তা; চাহিদার ডানা মেলার বার্তা;
কিছু কথা বেয়ে আসে সিমেন্টের শিকড় বেয়ে,
সামান্য কিছু আশকারা পায়; তুই-তোকারির মিত্রতা চেয়ে বসে;
পরিযায়ী পাখীর মত রোদের টুকরোর সাথে।
এমন নানা অশ্রুত শব্দের মাঝে আমার বাস, আমার খাট, আমার মশারি;
আর ছ’দিনের না আঁচড়ানো চুলে আমার গোপনতা আর সন্ত্রস্ততার মাঝে সন্ধিস্থাপন রাখা।
সামান্য যেটুকু চুনকাম বেঁচে আছে দেওয়ালে দেওয়ালে; পাত্র উথলে অসম্মান;
কিছু দুঃখ-অপ্রিয় ছায়া-হাওয়ায় মৌনমেলার বাসর সাজায়।
এ অবধি ঠিকই ছিল।
তবে গুঁড়ো বাতাসে সদ্যপ্রসূতীর রক্তছিটা পড়লে ব্যথিত হই;
যদিও একা নয়;
একাকিত্ব দ্রুত ভাগ করে ব্যথা, শুন্যতার সাথে।
আমি সব কিছু জানি, আহ্বান জানাই সবকিছুকেই; সব নিস্তব্ধতাকেই;
একটাই বার্তা -
আমার ঘরে ঢোকার আগে একমাত্র দরজায় আবছা আওয়াজ দিও।