আমি ঘরে ডেকে এনে সেই পাগলকে খুন করব,
যার কান্নায় সাক্ষী দেয় পড়শীতলার সব সারিবদ্ধ ঝোপঝাড়,
সেই মরা বকুলগাছটার খুব কাছে,
     সেদিন তো ঠিক সময়েই ঝমঝম করে ব্রিজ পেরিয়ে যাচ্ছিল -
     আটটা আটচল্লিশের ক্যানিং লোকাল,
মনে আছে তোমাকে ধাক্কা মেরে রেললাইনে ফেলে দেবার সময়,
উথলে উঠেছিল সেই পাগলটা; আমি পাত্তা দিই নি;
     পাগল তো!!
তারপর থেকে সে কাঁদে,
যার কান্নায় সাক্ষী দেয় রাজ্যের সব অলিখিত রেললাইন,
সব বিশ্বাসী ফণীমনসার ঝাড়। বইমেলার মাঠের মত ধুলো -
আজো চোখে মুখস্থ হয়ে আছে; সবটা ধুয়ে ফেলতে পারছি না।
আর আমি যাই না ষ্টেশনে ষ্টেশনে, খুঁজি না তোমাকে খুন করার কোন নিশ্চিন্ত পদ্ধতি।
তবু কবিতা লিখতে বসলেই সেই পাগলটা কাঁদে,
ওকি তোমার বেঁচে থাকা প্রেমিকদের মধ্যে শেষ একজন!
ওকি তোমার সমস্ত বেঁচে থাকার অভিমানকে চুম্বনে বদলে দিতে চেয়েছিল?
এখন বন্যায় ভেসে যায় তোমাকে লেখা আমার সব কবিতা,
নাঃ! পাগলটাকে খুন না করা অবধি সোয়াস্তি নেই।