কোন কোন কবিতা জন্মান্তর দেয় বলে শুনেছি,
যেহেতু মৃত্যুর বদলে আর কিছুই নিতে চাই না,
তাই অনেক প্রাচীন প্রাকারের মত স্থানে স্থানে ভঙ্গুর হলেও -
রাজকীয় পরিভাষার মত এখনো অটুট কিছু তুমি; কিছু কবিতা।


তবুও যখন কোন কোন কবিতা জন্মান্তর দেয়,
আমি মুঠো মুঠো ওড়াতে থাকি গৃহস্থ অনুবাদ,
এই বাড়ি, এই বৃষ্টি, এই স্পষ্টতা, এই অশরীরী আগুন;
এই অসহনীয় ধুলো, এই সাংসারিক পলিমাটি;
এই দারুন অসময়ে জন্ম নেওয়া বাচ্চাটার ক্ষুধার্ত হাঁ।
আমি সব কিছু দিয়ে দেব; মুখ ফেরাব অসহ্যতার দিকে।


তুমি হয়ত বলবে – তুমি অসুস্থ,
আমি বলব – আমার ক্ষত দেখানোর সময় এসেছে প্রিয়া।
বাকিসময়ে তো কবেই ছেড়ে দিয়েছি বাঁচার অধিকার এই জাদু-পৃথিবীতে,
কুঁজো হয়ে নামিয়ে রেখেছি দাবী-সনদ।


আচমকা উত্থিত হয়ে মৃত্যু আমার কবিতার মান দেবে।
আরো আগে যদি দেখা হত তোমার সাথে,
আরো আগেই জমিয়ে রাখতাম সঞ্চয় অথবা জন্মান্তরের জন্য কবিতা।
তবু,
আর বিশ্বাস করিয়ে কুড়িয়ে নেওয়াতে পারবে না ক্ষুদকুঁড়ো কবিতা,
যা ছুঁড়ে দেবে; তুমি অথবা ঈশ্বর; কবিতার ছদ্মনামে অথবা জন্মান্তরের লোভে।