গ্রন্থাগারের জমায়েত অন্ধকার চোখে সয়ে আসতেই,
নানান বই হাতড়ে কবি কবিতা ভাঙার প্রতিশব্দ খুঁজছিল,
জানে ঠিক প্রতিশব্দ খুঁজে বার করার সময়েই -
      একটা পুকুর আবার নীরব হয়ে যাবে,
      ঠিক সেই সময় অবধি ভিতরের ঠোঁটে দংশনের দাগ হবে ঈষৎ ফিকে,
      একটা হাল্কা নীল চোখের আভাস দেখা দিয়ে ফুরিয়েও যেতে পারে।


এমনিতেই হাতে বেশী সময় নেই কবি-র, (চাইলে বিষণ্ণ হতে পারে),
গ্রন্থাগারের অন্ধকারটা যদিও কিছুটা সয়ে আসছে, আপাতত;
বিকেলটাও ছোট ছোট ছাপার অক্ষরে বলছে – ‘তবে যাই?’
তবু দারোয়ান ঘাড় ধরে বের করে দেবার আগেই -
কবিকে খুঁজে বার করতেই হবে কবিতা ভাঙার প্রতিশব্দ।


কবি কি সত্যি তাই খুঁজছে?
      না কি ক্ষতবিক্ষত উঠোনের মত হৃদয় দেখাতে ভয় পায় অনবরত?
      কবিত্বের (সতীত্বের) পরীক্ষা দিতে দিতে ক্লান্ত কবি,
গ্রন্থাগারের স্থায়ী অন্ধকারে নানান শব্দের প্রতিশব্দ খোঁজে,
কারন উপমা দিতে দিতে কবি একসময়;
      ‘হৃদয়’ শব্দটাই ‘কবিতা’ ভেবে বসে আছে।


কবি গ্রন্থাগারের নিশ্চিন্ত অন্ধকারে চোখ ফেরায়।