শুধু আমি জানি সেই অপূর্ব ঠোঁট থাকবে আশ্চর্য ভাষায়! অনন্ত বিপ্লব!


বাকি সব কবিতার দাম লুটিয়েছে -
        পরিত্যক্ত বাসরাস্তায়,
        কিছু রাজ্যপত্রিকার টেবিলের তলার ডাস্টবিনে,
        কিছু কবিতার বাতিল পাতায় খাওয়া হচ্ছে লোভনীয় সিঙ্গাড়া,
        অথবা কিছু সামান্যভুক্ত শিশুর অস্থির মলিন আঙ্গুলের ইশারায়।


যদি সেই ঠোঁট আচমকাই জেগে উঠে বলে,
        এবার নিস্তার দাও,
        এবার ফিরি জীবনানন্দে,
        নাহলে খানিক ছুঁয়ে দেখব কোন এক অপরিচ্ছন্ন বারবিলাসীর শরীর।


শেষ অবধি কবিতা লিখতে লিখতে মরে গেলে,
আমি চাইব সেই অপূর্ব ঠোঁট; পাতাল-অন্ধকারে মৃদু প্রদীপের মত।
জানি সবাই ছেড়ে চলে যাবে,
পাগলকে যেমন করে ছেড়ে চলে যায় কারাগারে; ফিরে আসে না আর কেউ;
কোনদিন।


মেঘরাত্রির সাক্ষ্যপ্রমানসহ,
হে আশ্চর্য বিপ্লবী ঠোঁট; শেষবারের মত আমায় প্রসব কর।